অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গোপালগঞ্জে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের বাইপাস সড়ক নির্মাণের এক সপ্তাহের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। শহরের হরিদাশপুর ব্রিজ থেকে চাপাইল ব্রিজ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হতে না হতেই কার্পেটিং যেন হাত দিয়ে তোলা যাচ্ছে। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় অধিকাংশ স্থানে গর্তসহ রাস্তা দেবে যাচ্ছে। এতে এই সড়ক দিয়ে চলতে পারছে না ভারী কোনো বাস-ট্রাক। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চালকদের। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করায় এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ শহরের হরিদাশপুর ব্রিজ থেকে চাপাইল ব্রিজ পর্যন্ত ২১ ফিট চওড়া ১০ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণ করে গোপালগঞ্জ পৌরসভার একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। টেন্ডার শেষে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের কাজ শুরু হয় দুই বছর আগে। রাস্তা খোঁড়া এবং ইট-বালুর কাজ শেষ হয়েছে ছয় মাস আগেই। দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়ে সড়কটির ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে কার্পেটিংয়ের কাজ। তবে সংস্কারের এক সপ্তাহের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। নিম্নমানের ইট, বালি ও পিচ দেওয়ার কারণে অধিকাংশ স্থানে গর্তসহ রাস্তা দেবে গেছে। কোথাও বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। হাত দিয়ে তোলা যাচ্ছে কার্পেটিং। বর্তমানে এ সড়কটি ভারী যানবাহন চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ঘটছে দুর্ঘটনাও।
নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই কাজ শেষ করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ফলে কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসছে পিচ। নিম্নমানের এই কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদস্বরূপ স্থানীয় লোকজন নতুন সড়কের বিভিন্ন স্থানের কিছু অংশে পিচ তুলে ফেলেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এই রাস্তাটি এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে থাকলে কয়েক মাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণ উঠে যাবে।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, নতুন রাস্তার নিচ দিয়ে পানির লাইন যাওয়ায় কিছু কিছু জায়গায় ফাটল ধরেছে, কার্পেটিং উঠে গেছে। আমরা তা দ্রুতই মেরামত করে দেব। পৌরসভা থেকে ঠিকাদারকে কাজের মান ঠিক রেখে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আল-আমিন সিকদার কুটু বলেন, নতুন রাস্তায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি লোড নিয়ে ট্রাক চলাচল করায় সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে গেছে এবং এ কারণেই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।
Leave a Reply